মানব পাচারের জন্য নয়
কুয়েতে ঘুষ প্রদানের অপরাধে এমপি পাপুলের ৪ বছরের জেল
জহিরুল ইসলাম টিটু:
গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কুয়েতে একটি বড় ধরণের ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের জেল দিয়েছে দেশটির বিচারিক আদালত এবং তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ কোটিরও বেশি। একই সাথে মানব পাচারের অভিযোগ থেকে খালাসও দিয়েছে এই সাংসদ কে।
এছাড়াও মামলায় কুয়েতের প্রাক্তন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ,ব্যবসায়ী সহ দেশটির মেজর জেনারেল মাজন আল-জারাহকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ১ কোটি ৯৯ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে।এটি ছিল কুয়েত আদালত পরিচালিত সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মামলা।

তবে রায়গুলি চূড়ান্ত নয়। চাইলে আসামীগণ আপিল ও ক্যাসেশন আদালতের সামনে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। একই মামলার বিষয়ে অনুপস্থিতিতে একজন সিরিয়ার নাগরিককে তিন বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশি এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল কয়েক মাস আগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি আইন লঙ্ঘন করে তার ব্যবসা করার জন্য কুয়েতের ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্য জারাহসহ উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তাদের বড় ধরণের ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবৈধ ফি আদায় করে সিনিয়র অফিসার ও এমপিদের ঘুষ দেওয়া সহ তার ব্যবসা করার জন্য মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। আদালত মানব পাচারের অভিযোগ থেকে মামলার সকল আসামিদের খালাস দিয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানব পাচারের জন্য লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে জেল দিয়েছে কুয়েতের আদালত এই মর্মে সংবাদ প্রচারিত হয়। কিন্তু কুয়েতী গণমাধ্যম দ্যা কুয়েত টাইমস সূত্রে জানা যায়, মানব পাচারের অভিযোগ থেকে আসামীদের খালাস দেওয়া হয় এবং শুধু মাত্র ঘুষ লেন-দেনের অপরাধে এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের জেল দেওয়া হয়।
