গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজের
সভাপতি এবং অধ্যক্ষকে উচ্চ আদালতের উকিল এর নোটিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূইয়া ও অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ খানকে উচ্চ আদালতের উকিল এর নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশগুলো গত ১৪/০৯/২০২০ ইং তারিখে গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায় যে, গত ২৯/১১/২০১৭ইং তারিখে কলেজের গভর্ণিংবডি দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে উক্ত কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জনাব, শিব প্রসাদ নাথকে অন্যায় ভাবে চাকুরী থেকে অপসারণ করায় তিনি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। মাননীয় আদালত গত ০৩/১০/২০১৮ইং তারিখে উক্ত বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে রুল জারি করেন এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে মাননীয় উচ্চ-আদালত গত ০৮/০১/২০২০ইং তারিখে জনাব, শিব প্রসাদ নাথ এর বিরুদ্ধে নেওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের সব ধরনের সিদ্ধান্তকে অনিয়মতান্ত্রিক, আইন বহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করে জনাব, শিব প্রসাদ নাথকে কলেজে পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে দেওয়া সহ তার প্রাপ্য সব ধরনের বকেয়া বেতন ভাতাদি তৎক্ষণাৎ দিয়ে দেওয়ার জন্য কলেজ সভাপতি ও অধ্যক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন।

জনাব শিব প্রসাদ নাথ, মাননীয় উচ্চ-আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার জন্য গত ১১/০১/২০২০ইং ও ১৮/০৩/২০২০ ইং তারিখে কলেজ সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া বরাবর অধ্যক্ষকে মাধ্যম করে আবেদন করেন। কিন্তু কলেজ সভাপতি ও অধ্যক্ষ উদাসীনতা, খামখেয়ালীপনা এবং একগুঁয়েমীর আশ্রয় নিয়ে মাননীয় উচ্চ-আদালতের রায়ের প্রতি অবজ্ঞা, অবমাননা ও অসম্মান দেখিয়ে উক্ত আবেদন পত্রের বিষয়ে দীর্ঘ প্রায় ৯ মাসেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনাব শিব প্রসাদ নাথ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তার আইনজীবীর মাধ্যমে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ড. শামছুল হক ভূইয়া ও অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ খানকে নোটিশ পাঠান এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে আদালতে রায় বাস্তবায়ন না করলে আদালত অবমাননা মামলা করার বিষয়ে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ১৪/০৯/২০২০ইং তারিখে উক্ত নোটিশ সমূহ গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্লেখ থাকে যে, উক্ত কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব, মফিজুল ইসলাম ভূইয়া কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরী করে অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে উক্ত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূইয়া এবং অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ খান ও তার স্ত্রী একই কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক কানিজ ফাতেমা সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ০৯/০৯/২০২০ইং তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন দুটি মামলা দায়ের করে।
